Learnera Academy Logo
Search
Close this search box.

গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর যত অপকৌশল

ফিচার ইমেজ: গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর যত অপকৌশল
ফিচার ইমেজ: গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর যত অপকৌশল

সূচিপত্র

সেপ্টেম্বর, ২০২২। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জনকূটনীতি বিভাগের আওতায় ‘অভিবাসী কূটনীতি’ নামে নতুন একটি অধিশাখা খোলার উদ্যোগ নেয়, যেই বিভাগের নিয়োগকৃত কলামিস্টরা চুক্তি ভিত্তিতে লেখালেখির মাধ্যমে দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে সরকারের পক্ষে ইতিবাচক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।1সংবাদ: ভালো কলামিস্ট খুঁজছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়; প্রকাশক: সমকাল; প্রকাশকাল: ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২;

এর পরপরই বিভিন্ন গণমাধ্যমে একতরফাভাবে বর্তমান সরকারের প্রশংসামূলক অসংখ্য কলাম, প্রবন্ধ, নিবন্ধ প্রকাশ হতে থাকে। পরবর্তীতে বার্তা সংস্থা এএফপি প্রায় ৬০-টি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত ৭০০-র অধিক নিবন্ধের ফ্যাক্ট চেক করে।2সংবাদ: Fake experts praising Bangladesh gov’t in media before elections: AFP probe; প্রকাশক: Al Jazeera; প্রকাশকাল: ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩;

এসব নিবন্ধ ৩৫ জন লেখকের নামে প্রকাশিত হয়েছে কিন্তু ইতঃপূর্বে তাদের কাউকেই অনলাইনে লেখালেখি করতে দেখা যায় নি। এমনকি নিবন্ধের সাথে লেখকদের যে পেশাগত বর্ণনা দেয়া হয়েছে, এএফপির তদন্তে সেসব সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।

একই সাথে কয়েকজন লেখকের ছবি হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে অন্য ব্যক্তির ছবি চুরি করেও ব্যবহার করা হয়েছে। সাধারণত সকল লেখক বা গবেষকেরই গবেষণাপত্র প্রকাশকারী সংস্থাগুলোর ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভেরিফাইড প্রোফাইল থাকে কিন্তু ইন্টারনেটে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেও এসব নিবন্ধের লেখকদের তেমন কিছু পাওয়া যায় নি।

ধারণা করা হয়, এএফপি কর্তৃক ‘প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে চিহ্নিত এসব নিবন্ধের লেখকদের বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই, ভুয়া নাম, ছবি ও পরিচয় ব্যবহার করে এসব করা হয়েছে। এসব নিবন্ধের কয়েকটি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন ওয়েবসাইটেও প্রচার করা হয়।3সংবাদ: বাংলাদেশে নির্বাচনের আগে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন ভুয়া বিশেষজ্ঞরা; প্রকাশক: মানবজমিন; প্রকাশকাল: ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩;

ঘটনাটি গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর নানান অপকৌশলের একটি খণ্ডচিত্র মাত্র। অপপ্রচারকারীরা স্বার্থ হাসিলে নিত্য-নতুন অপকৌশলেই এধরণের কর্মকাণ্ড করে থাকে। ফ্যাক্ট চেকারদের এসব অপকৌশল সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। এমন চিহ্নিত প্রধান ৬-টি অপকৌশল নিচে বিশ্লেষণ করা হয়েছে –

 

ছবি ও ভিডিওতে কারসাজি

গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়াতে বহুল ব্যবহৃত অপকৌশল হচ্ছে ছবি বা ভিডিওতে কারসাজি করা। বিকৃতি (Manipulation), মিরর ইফেক্ট (দিক বদলে দেয়া), ক্রোপ এবং কোলাজ (ছবি বা ভিডিওর কিছু অংশ কেটে অন্য ছবি বা ভিডিওর সাথে জুড়ে দেয়া) ইত্যাদি অপকৌশলে এধরণের কারসাজি করা হয়।

ছবি নিয়ে কারসাজির খেলায় সাধারণত নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা স্থানের পুরনো কোনো ছবিকে ফটোশপের মত বিভিন্ন সফটওয়্যার দিয়ে বিকৃত কিংবা একাধিক ছবির সমন্বয়ে নতুন আরেকটি ছবি তৈরি করা হয়। ভিডিওতে কারসাজির ক্ষেত্রে একাধিক ভিডিও কাটছাঁট করে কিংবা এক ভিডিওর সাউন্ড অন্য ভিডিওতে জুড়ে দেয়া হয়।

সম্প্রতি ভয়েজ ক্লোনিংয়েরও অনেক সফটওয়্যার বের হয়েছে, যেগুলোতে একজন ব্যক্তির কণ্ঠে রেকর্ড করা বেশ কিছু ক্লিপ সরবরাহ করলে পরবর্তীতে সেই সফটওয়্যারগুলো স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী সেই ব্যক্তির কণ্ঠ নকল করে যা ইচ্ছে বলানো যায়। এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ভিডিওতে খুবই সূক্ষ্মভাবে কারসাজি করা হয়।

 

বানোয়াট ছবি ও ভিডিও

আজকাল প্রায়ই নায়ক-নায়িকা, রাজনৈতিক নেতা এবং বিখ্যাত ব্যক্তিদের নিয়ে নানান বিব্রতকর ছবি, ভিডিও এবং অডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের আগ্রহ এবং আলোচনা-সমালোচনার ফলে মুহূর্তেই এসব ঘটনা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

পরবর্তীতে ফ্যাক্ট চেকের মাধ্যমে জানা যায়, এগুলো আসলে সম্পূর্ণ বানোয়াট। মূলত গুজব ছড়িয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিব্রত বা মানহানির উদ্দেশ্যেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) এবং শক্তিশালী সফটওয়্যার দিয়ে এধরণের অপকর্মগুলো করা হয়।

গ্রিন স্ক্রিন, ডিপ ফেক এবং বিভিন্ন উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তির সহায়তায় এধরণের কাজগুলো এতটা সূক্ষ্মভাবে করা সম্ভব যে সেটি কি বাস্তব না বানোয়াট, সাধারণ দৃষ্টিতে তা বোঝার কোনো উপায় থাকে না।

🔗 ভুয়া ছবি যাচাইয়ের কার্যকর কিছু টুলস

ছবি ও ভিডিওর অসঙ্গত উপস্থাপন

ছবি ও ভিডিওর বিকৃত উপস্থাপন হচ্ছে গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর সবচেয়ে সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতি। এক্ষেত্রে, একটি বাস্তব ছবি বা ভিডিওর প্রকৃত প্রেক্ষাপট বা সংশ্লিষ্ট তথ্য গোপন করে ভিন্ন কোনো প্রেক্ষাপটে ছবি বা ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়।

সম্প্রতি ভাবশালী টাইম ম্যাগাজিনের ২রা নভেম্বর, ২০২৩ সালে প্রকাশিত সংখ্যার প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। সরকার এবং সরকার দলীয় ব্যক্তিবর্গ পত্রিকাটির প্রচ্ছদে স্থান পাওয়ার এই ঘটনাকে বিশেষ অর্জন হিসেবে উপস্থাপনের লক্ষ্যে ব্যাপক ইতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে।

তবে, প্রচ্ছদ সংশ্লিষ্ট ‘Hard Power, Prime Minister Seikh Hasina And The Fate of Democracy In Bangladesh’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা একটানা দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকে বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

এক্ষেত্রে, প্রচ্ছদে ব্যবহৃত ছবিটির প্রকৃত প্রেক্ষাপট হুমকির মুখে থাকা বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ। কিন্তু বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে শেখ হাসিনার ইতিবাচক ভাবমূর্তি তুলে ধরতে সরকার সমর্থকদের প্রচারণা ছবিটির অসঙ্গত উপস্থাপন।

অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক, গোষ্ঠীগত বা ব্যক্তিগত কারণে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এধরণের অপপ্রচার চালানো হয়। সাধারণ মানুষজনও মাঝেমধ্যে সচেতনতার অভাবে এধরণের ভুল তথ্য বা ভুয়া সংবাদ প্রচারের সাথে নিজেদের অজান্তেই জড়িয়ে পরেন।

 

তথ্যের বিকৃতি ও বিভ্রাট

তথ্যের বিকৃতি বা বিভ্রাট গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর প্রাচীনতম অপকৌশল। প্রযুক্তিগত বিপ্লবের পূর্বে গত শতাব্দীতেও মূলত তথ্য বিকৃত করে এবং বিভ্রাট সৃষ্টি করে অপপ্রচার চালানো হতো। ইন্টারনেট ও সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ প্রচারে সম্পাদনা এবং সেন্সরশিপের তেমন বালাই না থাকায় গুজব ছড়াতে এখনো তথ্যের বিকৃতি ঘটানো হয়।

রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেও তথ্য বিকৃত করা হয়। মূলত আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা নিয়ে নিজেদের সাফাই গাইতে তথ্য, বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ জরিপ ও সূচকের ডেটা বিকৃত বা ফলাফলের ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়। পুরনো এবং পক্ষপাতমূলক, এমনকি সম্পূর্ণ বানোয়াট বা উড়ো সংবাদ দিয়েও এই পদ্ধতিতে গুজব ছড়ানো হয়।

তথ্যের আংশিক উপস্থাপন বা কোনো ঘটনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এড়িয়ে সংবাদের প্রসঙ্গ বদলে ফেলা তথ্যের বিকৃতি। মূলধারার গণমাধ্যমগুলো বাণিজ্যিক স্বার্থে প্রায়ই এই পদ্ধতিতে তথ্যের বিকৃতি ঘটায়। ‘ছবি ও ভিডিওর অসঙ্গত উপস্থাপন’ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত ঘটনার ক্ষেত্রে হাতেগোনা কয়েকটি ছাড়া বাংলাদেশের সকল গণমাধ্যম এই অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

অযৌক্তিক তুলনা এবং মতামতকে প্রকৃত ঘটনা বা সংবাদ হিসেবে উপস্থাপন করাও এক ধরণের তথ্যের বিকৃতি। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের অনেকেই পুরো সংবাদ না পড়ে কেবল শিরোনাম দেখেই অন্যদের সাথে শেয়ার করে দেয়। এর মাধ্যমে তথ্যগত বিভ্রাট ঘটে, পাঠক-দর্শকরা বিভ্রান্ত হয়।

 

ভুয়া ব্যক্তি ও উক্তি

গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদকে পাঠক-দর্শকদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে অপপ্রচারকারীদের আরেকটি কৌশল হচ্ছে ভুয়া বিশেষজ্ঞ সৃষ্টি করা আর তা সম্ভব না হলে বিখ্যাত ব্যক্তিদের নামে বানোয়াট উক্তি প্রচার করা।

নিবন্ধের ভূমিকায় উল্লেখিত এএফপি-র ফ্যাক্ট চেকের জন্য নির্বাচিত প্রায় ৭০০ কলামের লেখক হিসেবে যাদের নাম রয়েছে, তাদের অন্যতম ‘ডোরিন চৌধুরী’। এই লেখকের নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রোফাইল থাকলেও এএফপি এবং অন্যান্য ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা সেগুলোকে ‘ভুয়া’ বলে সন্দেহ করছে।

আরেক লেখকের ছবি হিসেবে ভারতীয় এক সেলিব্রেটির ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যান্য লেখকদের পরিচয়েও গড়মিল রয়েছে, হয়তো তাদের কোনো অস্তিত্বই নেই। রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা ছড়াতেই এমন ভুয়া বিশেষজ্ঞ সৃষ্টি করা হয়। বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, ধর্ম ইত্যাদি বিষয়ে গুজব ছড়াতেও অনেক কাল্পনিক চরিত্রের আবির্ভাব ঘটানো হয়।

এমন ভুয়া বা কাল্পনিক বিশেষজ্ঞ তৈরিতে ব্যাপক কর্মযজ্ঞের পাশাপাশি পর্যাপ্ত অর্থ ও জনবলের প্রয়োজন হয়। স্বতন্ত্র অপপ্রচারকারীদের পক্ষে এসব সম্ভব হয় না বিধায় তারা ভিন্ন পথে হাঁটে, সত্যিকারের বিশেষজ্ঞদের নামে ভুয়া উক্তি বানিয়ে তা প্রচার করে।

আসল বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য বিকৃত, ভুল অনুবাদ বা ব্যাখ্যা করেও গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হয়। বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের নামেও এসব ঘটে। অনেক সময় সংঘবদ্ধ ও চতুর অপপ্রচারকারীরা গুজব ছড়াতে কিংবা ভুল তথ্যের প্রামাণ্য সূত্র হিসেবে ব্যবহার করতে ভুয়া সংস্থা ও অনলাইন পোর্টালই তৈরি করে ফেলে।

 

গণমাধ্যমের অপব্যবহার

অধিকাংশ দর্শক-পাঠকদের মাঝেই গণমাধ্যমকে অন্ধভাবে বিশ্বাসের প্রবণতা রয়েছে। গণমাধ্যমের সাথে যুক্ত একদল অসাধু লোক এই প্রবণতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মূলধারার গণমাধ্যমেই সুকৌশলে সংবাদের আড়ালে গুজব ও ভুল তথ্য প্রচার করে।

অপপ্রচারকারীদের আরেকটি কৌশল হচ্ছে গণমাধ্যমকে ভুল ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করা। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক সংবাদ প্রচারের চেষ্টা চালাতে গিয়ে গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই বিভিন্ন উৎস বা সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য যথাযথ মূল্যায়ন না করেই সংবাদ প্রকাশ করে প্রকারান্তে গুজব ছড়ায়।

বিখ্যাত গণমাধ্যমের নামে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েও গুজব ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানো হয়। এক্ষেত্রে অপপ্রচারকারীরা প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করে কিংবা তাদের লোগো, ফটোকার্ড ব্যবহার করে কাল্পনিক বা নিজেদের বানানো গল্প-ঘটনা প্রচার করে।  

তাছাড়া, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ/চ্যানেল সর্বস্ব অনেক ভুঁইফোঁড় অনলাইন পোর্টাল গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ায়। গণমাধ্যমের বেশধারী এসব পোর্টাল আসলে গুজব ও ভুল তথ্যের কারখানা, যাদের উদ্দেশ্য ক্লিকবেট শিরোনাম ও থাম্বনেল দিয়ে দর্শক-পাঠকদের আকৃষ্ট করে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা।

 

এগুলো গুজব, ভুল তথ্য ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর বহুল প্রচলিত ও চিহ্নিত কয়েকটি অপকৌশল মাত্র। অপপ্রচারকারীরা নিত্যনতুন কৌশলে এবং মাধ্যমে তাদের অপকর্ম চালিয়েই যায়। তাদের মোকাবেলায় এসব অপকৌশলগুলো জানার সাথে সাথে বিচক্ষণতা ও অনুসন্ধানী মননের কোনো বিকল্প নেই।

 

তথ্যসূত্র - References

নিবন্ধটি প্রচার করুন:

⚠️ Copying, Republishing, or Using any content outside of our website (learneraacademy.com), whether for personal, commercial, or educational purpose, is extremely prohibited without prior permission of Learnera Academy. You may share the direct link of pages on social media and through email or other digital media.

This article is written in the Bengali language. References from various sources are mentioned in the reference section (তথ্যসূত্র). Media files are credited in the caption section. If you have any concerns, please get in touch with us at contact@learneraacademy.com

যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক নিয়ে
আপনার সেরা লেখাগুলো প্রকাশ করুন!

গণমাধ্যম সাক্ষরতা ও নয়া মাধ্যমে সচেতনতা তৈরিতে আমাদের এই অগ্রযাত্রার সঙ্গী হোন আপনিও। যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক সম্পর্কিত আপনার লেখাগুলো আজই পাঠিয়ে দিন, নির্বাচিত লেখাগুলো সম্মানীসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

Join As A Content Writer - Learnera Academy
Join As A Content Writer - Learnera Academy
যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আপনার সেরা লেখাগুলো প্রকাশ করুন!

গণমাধ্যম সাক্ষরতা ও নয়া মাধ্যমে সচেতনতা তৈরিতে আমাদের এই অগ্রযাত্রার সঙ্গী হোন আপনিও। যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক সম্পর্কিত আপনার লেখাগুলো আজই পাঠিয়ে দিন, নির্বাচিত লেখাগুলো সম্মানীসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।

প্রাসঙ্গিক নিবন্ধ

হলুদ সাংবাদিকতা: কমিকের পাতা থেকে উঠে আসা সাংবাদিকতার অসুস্থ ধারা

ধরুন, একটি সংবাদমাধ্যমে একটি চাঞ্চল্যকর শিরোনাম প্রকাশিত হয়েছে যা হলো: “বিখ্যাত অভিনেত্রীর গোপন বিবাহ!” শিরোনামটি পাঠকদের মনে কৌতূহল জাগায় এবং সংবাদ পড়তে আগ্রহ সৃষ্টি করে।

ফিচার ইমেজ: ক্রীড়া সাংবাদিকতার সাত-সতেরো

ক্রীড়া সাংবাদিকতার সাত-সতেরো

বর্তমান পৃথিবীতে খেলাধূলা মানুষের বিনোদনের এক প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আর গণমানুষের কাছে খেলাধূলাকে বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে উপভোগ্য করে উপস্থাপন করে চলেছে ক্রীড়া সাংবাদিকগণ। অর্থাৎ

ফিচার ইমেজ: বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯

তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯

২০০৯ সালের ২৯ মার্চ নবম জাতীয় সংসদের ১ম অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে ‘তথ্য অধিকার আইন বিল ২০০৯’ পাস হয়। ৫ এপ্রিল সেই বিলে রাষ্ট্রপতি সম্মতি দিলে ৬ এপ্রিল আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

ফিচার ইমেজ: শ্রবণ প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধারণা এবং ধাপসমূহ

শ্রবণ প্রক্রিয়া: প্রাথমিক ধারণা এবং ধাপসমূহ

যোগাযোগের দৃষ্টিকোণ থেকে শ্রবণ একটি প্রক্রিয়া এবং বাচনিক যোগাযোগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সকল ধরণের যোগাযোগেই শ্রবণের প্রয়োজন হয়। কার্যকর শ্রবণ ব্যতিত যোগাযোগ কখনোই ফলপ্রসূ হয় না।

ফিচার ইমেজ: আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক এবং তা গঠনের ধাপসমূহ

আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক এবং তা গঠনের ধাপসমূহ

সহপাঠীদের মধ্যকার সাধারণ সম্পর্কের বাহিরে দুয়েকজন সহপাঠীর সাথে আপনার এই যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, যোগাযোগের দৃষ্টিকোণ থেকে তাই আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্ক বা Interpersonal Relations।

ফিচার ইমেজ: কেস স্টাডি, অনুসন্ধানমূলক গবেষণার জনপ্রিয় পদ্ধতি

কেস স্টাডি: অনুসন্ধানমূলক গবেষণার জনপ্রিয় পদ্ধতি

গভীর অনুসন্ধানের মাধ্যমে বিষয়বস্তু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং কারণ উদ্ঘাটনের প্রয়োজন হলে গবেষকগণ কেস স্টাডি করেন, যেখানে দু’য়েকটি ঘটনার খুঁটিনাটি জেনে বৃহৎ কোনো ঘটনা সামগ্রিকভাবে জানার চেষ্টা করা হয়।

ফিচার ইমেজ: গণমাধ্যম গবেষণায় আধেয় বিশ্লেষণ পদ্ধতি

আধেয় বিশ্লেষণ: গণমাধ্যম গবেষণায় অত্যাবশ্যকীয় পদ্ধতি

১৯৭১ থেকে ১৯৯৫ সালে সাংবাদিকতা বিষয়ক জার্নালসমূহে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের প্রায় ২৫% ছিল আধেয় বিশ্লেষণ-ভিত্তিক, যা ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৯ সালের মাঝে সাংবাদিকতা বিষয়ক গবেষণার সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হয়ে ওঠে।

ফিচার ইমেজ: গবেষণা নকশা প্রণয়ন

গবেষণা নকশা: পরিপূর্ণ গবেষণার রূপরেখা প্রণয়ন

যেকোনো কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করার প্রাথমিক ধাপ হচ্ছে নকশা বা পরিকল্পনা প্রণয়ন। গবেষণাও এর ব্যতিক্রম নয়। বরং, নকশা প্রণয়নের মাধ্যমে সূচনাতেই গবেষণার সামগ্রিক প্রতিচ্ছবি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক সম্পর্কিত
আপনার প্রয়োজনীয় নিবন্ধ প্রকাশের অনুরোধ করুন!

গণমাধ্যম সাক্ষরতা তৈরি ও নয়া মাধ্যমকে সকলের নিকট বোধগম্য করে তুলতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। যোগাযোগ, সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যেকোনো তথ্য ও নিবন্ধ প্রয়োজন হলে আমাদের জানান। আপনার অনুরোধকৃত বিষয়ে আমরা মানসম্পন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করবো।

Request For Article - Learnera Academy
Request For Article - Learnera Academy
যোগাযোগ, সাংবাদিকতা ও ফ্যাক্ট চেক সম্পর্কিত আপনার প্রয়োজনীয় নিবন্ধ প্রকাশের অনুরোধ করুন!

গণমাধ্যম সাক্ষরতা তৈরি ও নয়া মাধ্যমকে সকলের নিকট বোধগম্য করে তুলতে আমাদের এই প্রচেষ্টা। যোগাযোগ, সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম ও ফ্যাক্ট চেক বিষয়ক যেকোনো তথ্য ও নিবন্ধ প্রয়োজন হলে আমাদের জানান। আপনার অনুরোধকৃত বিষয়ে আমরা মানসম্পন্ন নিবন্ধ প্রকাশ করবো।

Scroll to Top
Learnera Academy Logo