কর্ম-ব্যস্ততা এবং বহুবিধ দায়িত্বের চাপে বর্তমানে অধিকাংশ মানুষেরই লিখিত বই, সংবাদ ইত্যাদি পড়ার সময় নেই। যাত্রা পথে কিংবা কাজের ফাঁকে এক পলকে কিছু ছবি বা ভিডিও দেখে মানুষ প্রয়োজনীয় তথ্য ও সংবাদ জেনে নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
লিখিত বই বা সংবাদ পড়ার চেয়ে ছবি বা ভিডিও দেখা কিছুটা আরামদায়ক। একনাগাড়ে বড়সড় একটি লেখা পড়ে কিছু জানা সময়সাপেক্ষ ও বিরক্তিকর ব্যাপার, যেখানে ছবি ও ভিডিও দেখে মুহূর্তেই যেকোনো বিষয়ে ধারণা নেয়া যায়। তাছাড়া, আকর্ষণীয় ছবি ও ভিডিও দর্শক-পাঠকদের বেশি আগ্রহী করে তোলে।
সাবলীল ভাষায় কিছু লেখার চেয়ে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছবি ও ভিডিও তৈরি করাও এখন বেশ সহজ। তাছাড়া, পত্রিকা, প্রকাশনা সংস্থা এবং রাষ্ট্রের বাঁধাধরা নিয়মকানুন মেনে লিখিত বই বা সংবাদ প্রকাশ করাও যথেষ্ট জটিল। সেই তুলনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে লেখার সাথে ছবি ও ভিডিও জুড়ে দিয়ে তাৎক্ষনিকভাবে প্রকাশ ও প্রচার করা যায়।
প্রযুক্তিগত এসব দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে অপপ্রচারকারী গোষ্ঠী। তারা বিভিন্ন কূটকৌশলে প্রায়ই ভুয়া ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে সাধারণ মানুষদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কেবল লিখিত তথ্য বা সংবাদের চেয়ে ছবি বা ভিডিও সংযুক্ত করলে বিষয়টি অধিক বিশ্বাসযোগ্য হওয়ায় জনসাধারণও সেই ফাঁদে পা দেয়।
এসব বিবেচনায় ভুয়া ছবি ও ভিডিও যাচাই ফ্যাক্ট চেকের গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র। তথ্য যাচাইয়ের চেয়ে বিভিন্ন টুলসের সহায়তায় ছবি ও ভিডিও যাচাইয়ের কাজটি বেশ সহজও বটে। নিবন্ধের বাকি অংশে ভুয়া বা বিকৃত ছবি যাচাইকরণে ব্যবহৃত কার্যকর কয়েকটি টুলস সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে।
গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ – Google Reverse Image Search
সার্চ ইঞ্জিন ‘গুগল’-এ যেকোনো কিছু লিখে খোঁজার পাশাপাশি সরাসরি ছবি দিয়ে সার্চ করার ফিচার আছে। ‘Google Search by Image’ নামের এই ফিচারটি ‘গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চ’ নামেই বহুল পরিচিত।
এই টুলটির সাহায্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া যেকোনো ছবির বিভিন্ন তথ্য, যেমন ছবির প্রকাশক, ছবির প্রেক্ষাপট, ছবি প্রকাশের সময়, ছবিটি সংযুক্ত করা বিভিন্ন পোস্ট ইত্যাদি খুঁজে বের করা যায়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে ছবিটির সত্যতা এবং প্রাসঙ্গিকতা যাচাই করা হয়।
গুগল ইমেজে যেকোনো ছবির লিংক প্রদানের পাশাপাশি সরাসরি ছবি আপলোড করেও এধরণের অনুসন্ধান করা যায়। পরবর্তীতে গুগল ইন্টারনেটে উন্মুক্ত সেই ছবি দিয়ে প্রকাশিত সকল পোস্ট, ব্লগ বা সংবাদ প্রদর্শন করে।
হুবহু সেই ছবিটি পাওয়া না গেলে সেই ছবির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ অন্যান্য ছবি দেখানো হয়। অনুসন্ধানের ফলাফলে প্রদর্শিত এসব ছবির সাথে প্রকাশক ও প্রকাশনার সময় উল্লেখ থাকে, যেগুলোর সূত্র ধরে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সহজেই ফ্যাক্ট চেক করা সম্ভব।
গুগল লেন্স – Google Lens
গুগলেরই আরেকটি ছবি অনুসন্ধানের পরিষেবা হচ্ছে গুগল লেন্স। এটি গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের চেয়ে উন্নত ও সহজে ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে সরাসরি ছবি তুলেই তা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানা যায়। এজন্য গুগলকে ইন্টারনেট থেকে ছবির লিংক কিংবা ছবি তুলে তা আপলোড করতে হয় না।
ধরুন, পত্রিকা কিংবা লিফলেটে ছাপানো একটি ছবি যাচাই করা দরকার। সেক্ষেত্রে গুগল লেন্সের মাধ্যমে ছবিটি স্ক্যান করে মুহূর্তেই খুঁটিনাটি তথ্য বের করা সম্ভব। টুলটি ছবিতে থাকা যেকোনো ভাষায় লিখিত তথ্য পড়তে এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে ফলাফল দেখাতে পারে। তবে, যেসব বিষয়ে ইন্টারনেটে যথেষ্ট তথ্য ও ছবি নেই, সেগুলো সম্পর্কে যথাযথ ফলাফল পাওয়া যায় না।
এন্ড্রয়েড মোবাইলে ফোনে গুগল লেন্স এপটি ব্যবহার করে সহজেই এই কাজগুলো করা যায় বিধায় ব্যবহারকারীদের নিকট বেশ জনপ্রিয়। আইফোনের জন্য গুগল লেন্সের স্বতন্ত্র এপ্লিকেশন নেই, গুগল বা ক্রোম ব্রাউজারের মাধ্যমে টুলটি ব্যবহার করতে হয়।
উল্লেখ্য, গুগল লেন্স এবং গুগল ইমেজ সার্চের ফলাফল মূলত ইন্টারনেটে থাকা বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রদর্শিত হয়। তাই, এসব তথ্য থেকে প্রয়োজনীয় সূত্রের সন্ধান নিলেও সেগুলোকে সরাসরি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদনে প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।
গুগল আর্থ ও স্ট্রিট ভিউ – Google Earth & Street View
গুজব এবং ভুল তথ্য ছড়াতে প্রায়ই এক জায়গার ছবিকে অন্য জায়গার ছবি হিসেবে প্রচার করা হয়। এক্ষেত্রে, গুগলের আর্থ এবং স্ট্রিট ভিউ পরিষেবাদ্বয় ব্যবহার করে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া সম্ভব।
গুগল আর্থ হচ্ছে সমগ্র পৃথিবীর দ্বিমাত্রিক, ত্রিমাত্রিক ও স্যাটেলাইট ভিত্তিক চিত্রের পরিষেবা, যেখানে পৃথিবীর যেকোনো দেশ বা অঞ্চলের অবস্থান, সেখানকার রাস্তা ও স্থাপনার বাস্তব চিত্র, জনসংখ্যা ইত্যাদি সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়।
১৯৮৪ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের ধারাবাহিক চিত্র-ও টুলটির মাধ্যমে জানা যায়, যা বিজ্ঞান ও পরিবেশ সংক্রান্ত দাবির ফ্যাক্ট চেক এবং পরিবেশ সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সহায়তা করে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্যও এটি সহায়ক টুল।
গুগলেরই আরেকটি পরিষেবা স্ট্রিট ভিউ, যার মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যেকোনো রাস্তায় হেঁটে দেখা যায়, সশরীরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অনুসন্ধান করতে হয় না। টুলটিতে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ ফিচারের মাধ্যমে রাস্তার আশেপাশে কিংবা যেকোনো স্থাপনা এবং তার চারপাশে কি কি আছে, সেগুলোও যাচাই-বাছাই করা যায়।
গুগল ম্যাপস – Google Maps
গুগলের এই পরিষেবায় ছবি দিয়ে সরাসরি অনুসন্ধানের সুযোগ নেই। তবে, ব্যবহারকারীরা যেকোনো স্থানের ভিতর ও বাহিরের ছবি আপলোড করতে পারে। ফ্যাক্ট চেকের ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপে সেই স্থানের ভিতর-বাহিরের অন্যান্য ছবির সাথে তদন্তনাধীন ছবির তুলনা করে যাচাই করা যায়।
গুগল ম্যাপের আরেকটি কার্যকর ফিচার হচ্ছে ‘লাইভ ট্রাফিক’। এর মাধ্যমে মূলত কোনো স্থানে পরিবহনের গতি ও সংখ্যা বা ঘনত্ব দেখানো হয়, যা সেই মুহূর্তে সেখানে অবস্থান করা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সংখ্যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়।
রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচিতে উপস্থিতির সংখ্যা নিয়ে প্রায়ই বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ছবি দেয়। এধরণের তথ্য ও ছবি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপের লাইভ লোকেশন ফিচার ও অন্যান্য টুলসের সহায়তায় অংশগ্রহণকারীর সম্ভাব্য সংখ্যা জানা এবং তা বিশ্লেষণ করে ছবির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়।
ইয়ানডেক্স – Yandex
ইয়ানডেক্স-কে বলা হয় রিভার্স ইমেজ সার্চের ‘সোনার খনি’। এটি মূলত একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান, যাদের গুগলের মতই সার্চ, ইমেজ সার্চ, ম্যাপ ইত্যাদি পরিষেবা রয়েছে। বিশেষত, ছবি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ভিন্ন মাত্রার সক্ষমতার কারণে এই টুলটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।
যেকোনো ছবি থেকে কোনো ব্যক্তির চেহারা কিংবা কোনো স্থাপনার ঠিকানা সনাক্তকরণে ইয়ানডেক্সকে সবচেয়ে শক্তিশালী টুল হিসেবে অভিহিত করা হয়। একই ছবির বিভিন্ন সাইজ বা ধরণ খুঁজে পেতেও টুলটি যথেষ্ট কার্যকর।
বিং – Bing
টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট এর সার্চ ইঞ্জিন ‘বিং’ তেমন জনপ্রিয় না হলেও ছবি অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলো থেকে তুলনামূলক ভালো ফলাফল দেয়। এক্ষেত্রে, বিং-এর ফিল্টারিং ফিচার বেশ সমৃদ্ধ, যার মাধ্যমে সহজেই কাঙ্ক্ষিত ছবির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া যায়।
টিনআই – TinEye
ছবি অনুসন্ধান বা রিভার্স ইমেজ সার্চের জন্য বিশেষায়িত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় টুল হচ্ছে টিনআই। এটি মূলত গুগল রিভার্স ইমেজ সার্চের মতই সামঞ্জস্যপূর্ণ ছবিগুলো খুঁজে বের করে দেয়। তবে, অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের সাথে টিনআইয়ের মূল পার্থক্য হচ্ছে, এর মাধ্যমে সম্পাদনকৃত বা বিকৃত ছবিও খুঁজে বের করা সম্ভব, যা সাধারণ ইমেজ সার্চ দিয়ে ততটা নিখুঁতভাবে করা যায় না।
ছবি দিয়ে গুজব বা ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর বহুল প্রচলিত অপকৌশল হচ্ছে পুরনো ছবি দিয়ে কিংবা পুরনো ছবিকে বিকৃত করে তা প্রচার করা। এধরণের ভুয়া ছবি যাচাইয়ে টিনআইয়ের ‘Most Changed’, ‘Oldest’, ‘Newest’ ইত্যাদি ফিল্টার ফ্যাক্ট চেকের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দেয়।
টিনআই-র মাধ্যমে ক্রোপ, কোলাজ বা ফটোশপের মত সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করা ছবিও চিহ্নিত করা যায়। একই সাথে, ছবিটি প্রথম কবে ও কোথায় প্রকাশিত হয়েছিল এবং অন্যান্য মেটা ডেটা পাওয়া যেতে পারে।
কিন্তু, হোয়াটসএপ, টেলিগ্রামের মত এনক্রিপ্টেড বার্তা-আদান প্রদানের মাধ্যমগুলোতে কোনো ছবি প্রচারিত হলে তার উৎস খুঁজে বের করা এসব টুল দিয়ে সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে, মেটা ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ছবিটি যাচাই-বাছাই করতে হবে।
🔗 TinEye
ফটোফরেনসিক – FotoForensic
কিছু স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের জন্য ফটোফরেনসিক অন্যান্য টুলগুলো থেকে আলাদা। এটি তদন্তনাধীন ছবির এরর লেভেল অ্যানালাইসিস (ইএলএ)-র মাধ্যমে ছবির নির্দিষ্ট কোন অংশ এডিট বা বিকৃত করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে সক্ষম।
ফটোফরেনসিক আসলে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মত কাজ করে। ছবির প্রতিটি পিক্সেলকে আলাদা আলাদা ভাবে বিশ্লেষণের মাধ্যমে ফটোফরেনসিক নতুন আরেকটি ছবি তৈরি করে, যেখানে ছবির এডিট করা অংশগুলো চিহ্নিত করে দেখানো হয়।
খুবই সূক্ষ্মভাবে এডিট করা ছবিগুলো মানুষ খালি চোখে খুঁজে না পেলেও ফটোফরেনসিক সেসব কাজে অনবদ্য। এর মাধ্যমে ছবির এক্সিফ ডেটা বা মেটা ডেটা-ও পাওয়া যায়।
ফেক ইমেজ ডিটেক্টর – Fake Image Detector
এই টুলটি প্রধানত ছবির মূল উৎস এবং যথার্থতা যাচাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হয়। টুলটি প্রথমে এরর লেভেল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ছবিটির কোথাও কোনো কারসাজি করা হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে। পরবর্তী ধাপে মেটা ডেটা বিশ্লেষণের দিকে নজর দেয়া হয়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ছবি যাচাইয়ের কাজে এই এপটি বেশ জনপ্রিয়।
ফটো শার্লক – Photo Sherlock
মোবাইল ফোনে ছবি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় টুল হচ্ছে ফটো শার্লক। সম্পূর্ণ ফ্রি-তেই অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস ডিভাইসে ফটো শার্লকের এপ ইন্সটল করে ছবির ফ্যাক্ট চেক করা যায়। পাশাপাশি তাদের ওয়েবসাইটেও ছবি যাচাইয়ের সুযোগ রয়েছে।
মেটাডেটা এক্সট্রাকশন টুলস – Metadata Extraction Tool
নিউজিল্যান্ডের জাতীয় গ্রন্থাগারের তৈরিকৃত মেটাডেটা এক্সট্রাকশন টুলস ছবির পাশাপাশি পিডিএফ, ওয়ার্ড ও এক্সেল ফাইল, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি প্রায় সকল ধরণের ডকুমেন্টের মেটা ডেটা খুঁজে বের করতে পারে।
এই টুলটি বেশ শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য। যেকোনো ধরণের কম্পিউটার এবং মোবাইল ডিভাইসে মেটাডেটা এক্সট্রাকশন টুলসের সফটওয়্যার বা এপ ডাউনলোড করে ফ্যাক্ট চেকের যাবতীয় কাজগুলো করা যায়।
উল্লেখ্য, মেটা ডেটা বলতে কোনো ছবি, ডকুমেন্ট বা ফাইলের এমন সব ডাটা বা তথ্যকে বুঝানো হয়, যেগুলো ছবি বা ডকুমেন্ট তৈরির সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযুক্ত হয়ে যায়। ফলে, ভুয়া পরিচয়ে কেউ কোনো ছবি বা ডকুমেন্ট প্রচার করলেও মেটা ডেটার সূত্র ধরে তার পরিচয় সংক্রান্ত কিছু তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব।
যেমন, একটি ছবির মেটা ডেটায় ছবিটি তুলতে ব্যবহৃত ক্যামেরার মডেল, অ্যাসপেক্ট রেশিও, শাটার স্পিড, ছবিটি তোলার সময় ফ্ল্যাশলাইট অন নাকি অফ ছিল, ছবিটি কোথায় তোলা হয়েছে, কবে ও কখন তোলা হয়েছে, রেজল্যুশন ইত্যাদি তথ্য যুক্ত থাকে।
যেকোনো ছবি বা ডকুমেন্টের মেটা ডেটা উদ্ঘাটন করতে পারলে ফ্যাক্ট চেকের কাজ সহজ হয়ে যায়। ধরা যাক, একটি ছবিকে বাংলাদেশের কোনো স্থানের ছবি বলে দাবি করা হলো। কিন্তু, ছবিটির মেটা ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখা গেলো ছবিটি ভারতে তোলা হয়েছে। তাহলে, ছবির সাথে করা দাবিটি যে ভুয়া, তা সহজেই স্পষ্ট হয়ে যায়।